মানিকগঞ্জে বস্তাবন্দি লাশ পাবনার কলেজছাত্র মাসুমের
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকার যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা বস্তাবন্দি লাশ পাবনার কলেজছাত্র মাসুমের। মাসুম পাবনার আমিনপুর থানাধীন কাবাশকান্দা গ্রামের মুকুল শেখের ছেলে। মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় অপহরণকারীদের হাতে মাসুমকে জীবন দিতে হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অপহরণের অভিযোগে পাবনার সুজানগর থানার পুলিশ মাসুমের চাচাতো দুলাভাই আজিমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্বজনরা জানিয়েছে, মাসুম সুজানগর উপজেলার ডা. জহুরুল কামাল কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাসুমের চাচাতো বোন রুপার স্বামী আজিম তাকে কলেজ থেকে অপহরণ করে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাইশা গ্রামে আজিমের আত্মীয়র বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়। অপহরণের পর মাসুমের ভাবির মোবাইল ফোনে আজিম ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ফোনে তিনি জানান, যথাসময়ে টাকা না দিলে মাসুমকে হত্যা করা হবে।
অপহরণের ঘটনায় আজিমকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন মাসুমের বড় ভাই শিহাব উদ্দিন। পরে আজিমের তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর আজিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আজিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মিনি দিয়ারচর গ্রামে। গ্রেপ্তারের পর আজিম পাবনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৩ নম্বর আদালতের বিচারক এ কে এম রওশন জাহানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি মাসুমকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাদ জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বাঘুটিয়া এলাকার কয়েকজন মাঝি যমুনা নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পাওয়ার পর সুজানগর থানা-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিহত মাসুমের মামা রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।