এক নারী ক্রিকেটারের কীর্তি
২০০৮ সালে কলেজে পড়ার সময় ছেলেদের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন সারা টেইলর। সে সময় ঘটনাটা বেশ তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। ছেলেদের ক্রিকেট দলে একজন মেয়েকে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার সমালোচনা করেছিলেন এমসিসির তৎকালীন সভাপতি। কিন্তু সত্যিই যে ছেলেদের দলে খেলার সামর্থ্য আছে, সেই প্রমাণ আবারও দিলেন সারা। ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দলের এই উইকেটরক্ষক খেলতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পুরুষদের প্রতিযোগিতায়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলবেন নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ায় পুরুষদের ক্রিকেটে এই প্রথম খেলতে দেখা যাবে কোনো নারী ক্রিকেটারকে। ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সারা উচ্ছ্বসিত, ‘আমার কোনো ধারণাই ছিল না যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এই পর্যায়ে আমিই হতে যাচ্ছি প্রথম নারী ক্রিকেটার। তবে আমি নিশ্চিত যে আমিই শেষ নই।’
বিদেশে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে কোনো অস্বস্তি হবে না বলেই জানিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী সারা, ‘ব্রাইটন কলেজে ছেলেদের সঙ্গে খেলেই আমি বড় হয়েছি। সম্প্রতি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত পুরুষদের প্রিমিয়ার লিগেও খেলেছি। ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার অভ্যাস আছে আমার।’
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সারা উইকেটরক্ষণের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দক্ষতার পরিচয় রেখে চলেছেন। ৯৮টি ওয়ানডেতে পাঁচটি শতকসহ ৩২১৮, আট টেস্টে ২৬৬ এবং ৭৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৮০৫ রান রান করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় আসছে মৌসুমে নারীদের বিগ ব্যাশ লিগেও খেলবেন সারা। সেখানে তাঁর দল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।