দুঃখজনক হলেও সত্য, বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী বিজয় মিছিল বের করা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল এবং দুষ্কৃতকারীরা একজনকে হত্যা করেছে।’
‘বিজয় মিছিল করা ঠিক হয়নি। আর যারা হত্যা করেছে, এটা জঘন্য অপরাধ করেছে। এর কোনোটাই কাম্য নয়। নির্বাচনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপশক্তি এগুলো করে’, যোগ করেন সচিব।
আজ রোববার নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান (৪৫) ছুরিকাঘাতে খুন হন। তিনি শহরের নতুন ভাঙাবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। তিনি পৌরসভার ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮৫ ভোটে জয়লাভ করেন। তিনি বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে সংঘর্ষের বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, যাতে নির্বাচন–পরবর্তী বিজয় মিছিল না হয়।’
ইসি সচিব বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটল। কারো কোনো অবহেলা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘মিছিল যারা বের করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে করেননি। অন্য জায়গায় করেছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ ছিলেন না। আমার নিরাপত্তা আগে আমাকে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করবে।’
ইসি সচিব আরো বলেন, ‘আমি যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে রাত ১টার সময় যেখানে ছিনতাই হয় সেখানে ঘুরাফেরা করি টাকাপয়সা নিয়ে, তাহলে তো ছিনতাই করবেই। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে কী করবে?’
সম্পূরক আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্ব নাগরিকের নিজেরও। প্রথম দায়িত্ব নিজের। শঙ্কা বোধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। এরপর তারা কিছু না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দোষ দেওয়া যায়।’