মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবাকে আ.লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্নার বাবাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রয়েল রিসোর্টের ঘটনায় হেফাজতনেতা মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেজ মেয়ে। ওলিয়ার রহমান ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কামারগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি।
রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর অলিয়ার রহমানের পরিবারের সদস্যরা হেফাজত ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাওয়ার কারণে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি মো. ওয়ালিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। আপনার বড় জামাতা মো. হাবিবুর রহমান, মেজ জামাতা অর্থাৎ জান্নাত আরা ঝর্ণার সাবেক স্বামী মো. জাফর শহিদুল ইসলাম, সর্বাধিক সমালোচিত আপনার মেজ মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার কথিত স্বামী মো. মামুনুল হকসহ সবাই উগ্রপন্থি ইসলামি সংগঠনের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে জড়িত। আপনার মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত। এমনকি আরও জানা যায় যে, আপনার স্ত্রীও জামায়াতপন্থি।’
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয় কখনো দলীয় নেতাদের জানাননি ওয়ালিয়ার রহমান। তাই তাঁর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালিয়ার রহমানকে কেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার স্বপক্ষে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।’