প্যারিসে হতাহতের মধ্যে বাংলাদেশি নেই : রাষ্ট্রদূত
ফ্রান্সের প্যারিসে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার এনটিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম।
টেলিফোন আলাপে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর আমাদের কাছে আসেনি। বাংলাদেশি প্রবাসীরা মূলত প্যারিসের শহরতলির দিকে থাকেন। যে জায়গায় এ হামলাগুলো হয়েছে সেগুলো মূলত অভিজাত এলাকা। এখানে ফ্রান্সের বিত্তবানরাই বসবাস করেন। তারপরও আমরা ঘটনার পর্যবেক্ষণ করছি ও খোঁজখবর রাখছি।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে প্যারিসে প্রায় একই সময়ে ছয়টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ১৫৩ জন লোক নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক লোক।
হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার ফ্রান্সজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব সীমান্তও।
এ ঘটনায় বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বার্তায় ফ্রান্সের জনগণের প্রতি গভীর শোক এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যারিসে বিদ্রূপ সাময়িকী শার্লি এবদোর কার্যালয়ে হামলায় ১৮ জন নিহত হওয়ার পর আবার সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠল ফ্রান্স। হামলায় শহরের মাঝামাঝি বাতাক্লঁন কনসার্ট হলেই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হামলাকারীরা সেখানে শতাধিক মানুষকে আটক করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিম্মি সংকটের রক্তাক্ত অবসান ঘটায়।
অন্য হামলাগুলো হয়েছে স্টেড দ্য ফ্রান্স এবং কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় মারা যায় আরো অর্ধশত মানুষ।
সিরিজ হামলাগুলোর মধ্যে স্টেডিয়ামের কাছের ঘটনাটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই স্টেডিয়ামে তখন জার্মানি বনাম ফ্রান্স ফুটবল ম্যাচ চলছিল। ওই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদঁ।
বোমা হামলার পর প্যারিসের বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরে নামানো হয়েছে দেড় হাজার বাড়তি সেনাসদস্যকে। হামলার তদন্তে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন ফ্রান্সের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।