‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/05/26/pirojpur-.jpg)
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় জেলায় ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পিরোজপুর জেলা ইউনিট।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক ইকবাল মাসুদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা ইউনিটের ইউডিআরটির ৩০ জন সদস্য ও বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ জন সদস্য। তারা জনসচেতনতায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে জন্য যাওয়ার কাজও করছে।
এ ছাড়া এফবিএফ প্রকেল্পের আওতায় ৫ নম্বর সতর্কতা সংকেত এলে পূর্ববর্তী সময়ে শুকনো খাবার (চিড়া, গুড়, চিনি, পানি) ও শিশুখাদ্য বিস্কুট প্রস্তুত রয়েছে। করোনার কারণে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি জানান, পিরোজপুর জেলায় আইভি এবং ওয়ারেচ স্যালাইন যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণিমার জোয়ারের দিন উপকূল অতিক্রম করবে তাই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।
এদিকে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রাখার লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া গোখাদ্য ও শিশুখাদ্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠনেরও প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ডিসি।