আগামীকাল পালিত হবে ‘উপকূল দিবস’
আগামীকাল শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলায় ‘উপকূল দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সংঘটিত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা সাইক্লোন’ স্মরণে দিনটিকে প্রতি বছর পালন করে উপকূলের মানুষ।
শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারও উপকূলে পালিত হবে দিবসটি।
উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি সূত্র জানায়, এদিন একযোগে লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর উপজেলা, ভোলা সদর, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, বাউফল, কলাপাড়া, কুয়াকাটা, রাঙ্গাবালী ও নীলগঞ্জ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফেনীর সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া, সাতক্ষীরা সদর, তালা, শ্যামনগর ও বুড়িগোয়ালিনী, খুলনার পাইকগাছা, বরিশাল, চাঁদপুর, পিরোজপুরের কাউখালী, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, হাতিয়া, বরগুনা, বাগেরহাট সদর ও শরণখোলা, কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এবং ঝালকাঠি সদর ও কাঁঠালিয়ায় দিবসটি পালিত হবে।
জানা গেছে, সরকারিভাবে আজও ‘উপকূল দিবস’ নামে কোনো বিশেষ দিবসের ঘোষণা নেই। তবে উপকূলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সম্ভাবনাময় উপকূলকে সুরক্ষার তাগিদে একটি দিনকে দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানিয়ে আসছে উপকূলবাসী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অরক্ষিত উপকূলকে সুরক্ষার তাগিদে গঠিত হয় ‘উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি’। ওই কমিটির আহ্বানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ১০০ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গণমাধ্যকর্মীদের সংগঠন, কিশোর-তরুণদের সংগঠন ইত্যাদি। দিবসটি পালনের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উপকূল বাংলাদেশ, কোস্টাল জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক, আলোকযাত্রা দল।
উপকূল দিবসের প্রধান উদ্যোক্তা ও উপকূল সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, ‘১৯৭০-এর ভয়াল সেই কালোরাত উপকূলের মানুষের জন্য যেমনটা অনিরাপদ ছিল আজও তেমনই অনিরাপদ। উপকূলের মানুষগুলো এখনও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। দুযোর্গের থাবায় হারাচ্ছে তাদের বাঁচার সম্বলটুকু। কিন্তু উপকূলের মানুষের সুরক্ষায় কোনো একটি বিশেষ দিবস নেই, যেদিন সবাই মিলে উপকূলের মানুষের কথা বলব। স্বাভাবিক সময়ে উপকূলের জীবন যে কতটা অস্বাভাবিক, সে বিষয়ে গণমাধ্যম ও নীতিনির্ধারকদের নজর বাড়িয়ে উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই উপকূল দিবস প্রস্তাবের মূল কারণ।’