বাড়ির রাস্তায় মাটি ভরাটে চাচার বাধা ও মারধর, হাসপাতালে ভ্যানচালকের মৃত্যু
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে বাড়িতে চলাচলের ভাঙা রাস্তা ভরাট করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে জবাইদুল ইসলাম (৫০) নামের এক ভ্যানচালক মারা গেছেন।
শুক্রবার বিকেলে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে দুজনকে আসামি করে বদলগাছি থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহতের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে।
নিহত জবাইদুল ইসলামের বাড়ি দুর্গাপুর (শুরকালী) গ্রামে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্যানচালক জবাইদুল ইসলামের বাড়ির চলাচলের মাটির রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে তাঁর ভ্যান বাড়ি নিয়ে যেতে অসুবিধা হচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জবাইদুল ইসলাম তাঁর বাড়ির সামনে ভাঙা রাস্তাটি মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করছিলেন। এ সময় তাঁর চাচা আব্দুল খালেক সেখানে গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটতে বাধা দেন। একপর্যায়ে আব্দুল খালেক এবং তাঁর ছেলে বেলাল হোসেন ভ্যানচালক জবাইদুলকে মারধর করে গাছে ঠেস দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরেন। এতে জবাইদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে জবাইদুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রুত জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার আগে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘ভাঙা রাস্তা ভরাট করার কারণে আমার বাবাকে মারপিট ও গলা চেপে ধরা হয়েছিল। এতে আমার বাবা অসুস্থ হন। জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমার বাবাকে যারা হত্যা করল, তাঁদের বিচার দাবি করছি।’
নওগাঁর বদলগাছী থানার পরিদর্শক রায়হান হোসেন বলেন, ‘ভাঙা রাস্তা ভরাটের সময় প্রতিপক্ষের মারধরে ভ্যানচালক জবাইদুল ইসলাম আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।