পাকিস্তানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, দিনটি উপলক্ষে শনিবার বিকেলে দূতাবাসের চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসানের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার তারিক আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ভাষণটিতে অগ্নিঝরা মার্চে মুক্তিপাগল বাঙালি তার মনের কথারই প্রতিধ্বনি খুঁজে পায়। ভাষণের নির্দেশনাতেই বাঙালির অসহযোগ আন্দোলন ক্রমশ তীব্রতর হয়ে তুঙ্গে পৌঁছায়। ৭ মার্চের ভাষণের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন।’
হাইকমিশনার আরো বলেন, ‘সেই দিনের ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য আর সংকল্পকে আমরা যদি আজকের দিনে পুরোপুরি ধারণ করতে পারি, তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তিই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না। বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।’
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব রাজধানীর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল সমাবেশের সামনে স্বাধীনতার নবযুগ সৃষ্টিকারী ভাষণ দেন। মুক্তিপ্রেমী লাখো জনতার সামনে ১৯ মিনিট ধরে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সেইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের শোষণকারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’