বিমানের টিকেট সিন্ডিকেটে হয়রানির শিকার সৌদিপ্রবাসী
বাংলাদেশ বিমানের টিকেট সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) মো. আবদুস শুকুর। এর সঠিক সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
সিআইপি আবদুস শুকুর সিলেট জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘ ৩৮ বছর আগে তিনি মরুর দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পেছনে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার অবদান রয়েছে। সরকার তাঁকে দুবার সিআইপির মর্যাদা দিয়েছে। ব্যবসা কিংবা মাতৃভূমির টানে বছরে কয়েকবার তাঁকে দেশে আসা-যাওয়া করতে হয়। তিনি সৌদিতে আসার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া অন্য কোনো বিমানে যাতায়াত করেননি।
সম্প্রতি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছুটি থেকে সৌদিতে ফেরার সময় বাংলাদেশ বিমানের সিলেট অফিস থেকে আবদুস শুকুরকে বলা হয় টিকেট নেই। পরে তিনি চলে আসেন ঢাকায় বিমানের কার্যালয়ে। সেখান থেকে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে রিয়াদে আসেন। মজার বিষয় হলো, বিমানে উঠে আবদুস শুকুর দেখেন, ৫০টির বেশি সিট ফাঁকা। বুঝতে পারেন, বিমানের টিকেটের সংকট দেখিয়ে বিমানসহ বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির দালাল চক্র তাঁর কাছে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
এরপর নিজ কর্মস্থল রিয়াদে পৌঁছানোর পর ঢাকা মেডিকেল সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন আবদুস শুকুর। তিনি বলেন, বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটে ৫০টির বেশি সিট খালি থাকে। অথচ বলা হয়, টিকেট নেই। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।
আবদুস শুকুর আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘৩৮ বছর ধরে বিমানেই আসা-যাওয়া করছি। যে বিমানকে এত ভালোবাসি, সেই বিমানে আসন থাকার পর বলে টিকেট নেই।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় তিনি প্রবাসীদের নিয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে থাকা ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও এসব প্রবীণ রেমিট্যান্স যোদ্ধার যদি এই হাল হয়, তাহলে সাধারণ প্রবাসীদের কী অবস্থা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’