মালয়েশিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, প্রবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক কুরআনের আলো। সুখী সমৃদ্ধ ও আলোকিত জীবনের অধিকারী হোক আমাদের প্রতিটি রেমিটেন্স ফাইটারের সংগ্রামী জীবন।

গত রোববার কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ারের পাশেই উইজমা এমসিএ কনভেনশন হলে একটি তাফসির মাহফিলে বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান আজহারী। বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিত হওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন আজহারী।

খুব কম সময়ের মধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন মিজানুর রহমান আজহারী। মালয়েশিয়া প্রবাসীরা বলছেন, এটাই মালয়েশিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মাহফিল।

আজহারীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-

‘আলহামদুলিল্লাহ..
মালয়েশিয়া প্রবাসী কমিউনিটির আয়োজনে গতকাল (রোববার) কুয়ালালামপুরের উইসমা এম. সি. এ. কনভেনশন হলে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নিয়ে আমরা কুরআনুল কারীম থেকে তাফসির শুনেছি। প্রবাসে শুদ্ধ জীবন গঠনের লক্ষ্যে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলগুলো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত।

পরিবার পরিজনহীন এ প্রবাস জীবনে কুরআনকে আমরা বন্ধু বানাতে চাই, নিত্যসঙ্গী করে কাছে রাখতে চাই, কুরআনের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ করতে চাই এবং কুরআনময় করে রাখতে চাই আমাদের কমিউনিটির সকল তৎপরতা। ওয়া বিল্লাহিত্তাওফিক ওয়াল ইতমাম।

দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যারা এ প্রোগ্রামটি সার্থক করেছেন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। ম্যানেজমেন্ট, সিকিউরিটি ও ডিসিপ্লিন টিমের সবার জন্য রইল আন্তরিক দুয়া ও ভালোবাসা।

হল রুমের ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি শ্রোতা চলে আসায়, সবাইকে অ্যাকোমোডেট করা সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক ভাইদেরকে ফিরে চলে যেতে হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকেও উত্তম বিনিময় দান করুক।

প্রবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক কুরআনের আলো। সুখী সমৃদ্ধ ও আলোকিত জীবনের অধিকারী হোক আমাদের প্রতিটি রেমিটেন্স ফাইটারের সংগ্রামী জীবন।’