মালয়েশিয়ায় গবেষণা করছেন রাবির শিক্ষার্থী মোশারফ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/26/photo-1490467655.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে মোশারফ হোসেন এখন গবেষণা করছেন মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ পেয়ে তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
মোশারফ হোসেন রাজশাহীর ডাকরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে পাঁচটি বিষয়ে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। চারঘাট এম এ হাদী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে প্রথম বিভাগ পেয়ে তিনি এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি রাবিতে ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষে পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হন। ওই বিভাগ থেকে ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেন।
স্নাতকে পড়ার সময় ওই বিভাগের অধীনে ‘রিপ্রডাক্টিভ হেলথ ইন রুরাল ওম্যান : এ স্ট্যাডি অব চারঘাট থানা ইন রাজশাহী ডিস্ট্রিক’ শিরোনামে একটি প্রকল্পে কাজ করেন। তখন থেকেই তাঁর গবেষণায় কাজ শুরু। এরপর স্নাতকোত্তরেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা রাখেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি প্রথম শ্রেণি পেয়ে স্নাতকোত্তর (এমএসসি) শেষ করেন।
এমএসসিতে মোশারফ হোসেনের গবেষণার বিষয় ছিল ‘ডিটারমিন্যান্ট অফ ইনফ্যান্ট অ্যান্ড চাইল্ড মর্টালিটি ইন বাংলাদেশ’। এতে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এনএসটি ফেলোশিপ পান। মোশারফের ওই গবেষণাটি জার্মানির ‘লাপলামবার্ট’ একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে স্নাতকোত্তর শেষে মোশারফ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এ সময় তিনি ‘নলেজ অ্যান্ড অ্যায়ারনেস অ্যাবাউট এইচআইভি/এইডস ইন স্লাম পপুলেশন অব রাজশাহী সিটি অ্যারিয়া, বাংলাদেশ’ শিরোনামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেন।
পরে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ পেয়ে তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তাঁর পিএইচডি গবেষণার শিরোনাম ছিল, ‘ইফেক্টিভনেস অব মোবাইল শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিসেস টু ইম্প্রুভ প্যারেন্টস নলেজ, অ্যাটিচুড অ্যান্ড প্রাক্টিসেস অন ড্রনিং প্রিভেনশন অব চাইল্ড অ্যাজেড আনডার ফাইভ ইন চারঘাট উপজেলা, বাংলাদেশ’।
মোশারফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু’ একটি সাধারণ সামাজিক সমস্যা। প্রতিবছর ১৮ হাজার ২২৫ জন শিশু পানিতে ডুবে মরে। এর মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় দুজন ও প্রতিদিন ৫০ জন শিশু মারা যায়। মা-বাবার অসতর্কতার কারণে অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সরকার মোবাইল মাধ্যম ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পাবলিক হেলথ বিষয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা পত্রিকায় তাঁর ২৫টি আইএসআই প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। পিএইচডি সম্পন্ন করে তিনি দেশের উন্নয়নে গবেষণা চালিয়ে যেতে চান।
মোশারফ হোসেন ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জামালউদ্দীন ও মা আমিনা বেগম। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মোহননগর গ্রামে।