মালয়েশিয়ায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/26/photo-1490510227.jpg)
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম।
লেবার কাউন্সিলার সাইদুল ইসলাম মুকুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একাত্তরের এ দিনে বাঙালি জাতি প্রত্যক্ষ করেছিল ইতিহাসের বিভীষিকাময় নৃশংস বর্বরতা। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গণহত্যার নীলনকশা অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি দানবরা মেতে উঠেছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালি নিধনযজ্ঞে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক রাতেই হানাদাররা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল লক্ষাধিক বাঙালিকে।’
অলোচনায় রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে রুখে দাঁড়ান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন। ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিল। অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।’
অলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর মো. হুমায়ূন কবির। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তা রইছ হাসান সারোয়ার, এস কে শাহীন, ধনঞ্জয় কুমার দাস।
পরে আলোচনা সভা শেষে ’৭১-এ বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।