রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফোরাম ফর দ্য ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।
আজ শনিবার প্লাস দোলা রিপাবলিকে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফোরাম ফর দ্য ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল আমিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ফ্রান্স শাখার সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস মিশনের গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মালেক ফরাজী। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির (বাগপা) সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক মিয়া, নজরুল গবেষক খোরশেদ আলম, ইউরোপভিত্তিক আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা কমিটির সদস্য হারুন ইউসুফ, কমিউনিটি নেতা আইয়ুব আলী, বিএনপি নেতা আবুল কালাম ফরাজী, ‘প্যারিস থেকে’ পত্রিকার সম্পাদক সোহাইল ইবনে হোসাইন, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত সোহেল, বরিশাল কমিউনিটি ফ্রান্সের সভাপতি মোতালেব খান, মানিকগঞ্জ সমিতির সভাপতি শাহিনুল ইসলাম, ফ্রঁসে আভেক রাব্বানীর প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক রাব্বানী, ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ট্রেজারার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সদস্য মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান ইমন, ইমরান হোসেন, আল মামুন খান, শিল্পী মারুফ বিন ওয়াহিদ, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে যে নির্মম গণহত্যা চলছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সিভিলিয়ান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিশ্ব ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চলছে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আদিভূমি আরাকানসহ সর্বত্র। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এগিয়ে আসতে বিশ্ববিবেকের প্রতি আহ্বান জানান সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অভিযোগ করা হয়, শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নীরবতাই প্রমাণ করে এই হত্যাযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুদের ওপর পাশবিক নির্যাতন তাঁর নির্দেশে হয়েছে। আর একজন হত্যাকারী নোবেল পুরস্কারের মতো বিশ্বজনীন সম্মান বহন করার অধিকার রাখে না। তাই সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য নোবেল কমিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় বিশ্বব্যাপী মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়।
আরাকানের স্বাধীনতাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। আরাকানের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের ভূমিতে ফিরে যেতে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
মিয়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জানানো হয়।