স্পেনে বসন্ত ও পিঠা উৎসব
বসন্ত মানেই গাছে গাছে কচি পাতার হাতছানি, কৃষ্ণচূড়া রক্তে রাঙানো ফুলের সম্ভার, দোয়েল-কোয়েল-কোকিলের কুহুতান, ঝিরিঝিরি দখিনা হাওয়া। আর তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে সুদূরের স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও মেতেছিলেন ফাল্গুনী উৎসবে। গত রোববার স্পেনের মাদ্রিদে ফাল্গুনী উৎসবের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়েছে দু-দুটি পিঠা উৎসব।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভালিয়েন্তে বাংলার উদ্যোগে পার্কে কাসিনো দে-লারেইনার হলরুম ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের উদ্যোগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন হলরুমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজন ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা ও বাঙালি কমিউনিটিকে একাত্ম করার চেষ্টা।
স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠা নিয়ে উপস্থিত হন। লাল-নীল, সবুজ, বেগুনি রঙের সুতি, জামদানি শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে বাহারি পিঠার ঝুড়ি নিয়ে সবাই হাজির হন এই উৎসবে। অনুষ্ঠানে পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ফুলঝুড়ি, গোলাপ পিঠা, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা, ভাপা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, নকশি পুলি, সিলেটের বিখ্যাত নুনগোড়া, দুধ চিতই, তেলের পিঠা, রস মঞ্জুরি, ঝুড়ি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পানতোয়া, দুধ পুলি ছাড়াও ছিল শিঙাড়া ও পেঁয়াজু।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন হলরুমে আয়োজিত পিঠা উৎসবে যোগদান করেন বাংলাদেশ এমবাসির হেড অব চ্যান্সরি হারুন আল রশীদ। হারুন আল রশীদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে প্রবাসে এত বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত পিঠা উৎসবে এই প্রথম অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশিদের এই মিলনমেলাকে সাধুবাদ জানিয়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মসজিদ কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী এনায়েত করিম তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর ও সহসভাপতি মিল্টন ভূঁইয়া কচি। এ ছাড়া সৈয়দ নাসিম, ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহী, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব স্পেনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, গ্রেটার সিলেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লুৎফর রহমান, নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, নোয়াখলী সমিতির সভাপতি রানা মাসুদ আলম, সোহেল আহমেদ সামসু, আবু জাফর রাসেল, আবুল হাশেম মেম্বারসহ আরো অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।