থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
ব্যাংককের ইউনেস্কো কার্যালয় প্রাঙ্গণে পালিত হলো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের ইউনেস্কো কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন যৌথভাবে করে ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ইশতিয়াক আহমেদের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন থাইল্যান্ড ইউনেস্কো কমিশনের মহাসচিব ড. ওয়াটানাপর্ন রানুবটুক।
স্বাগত বক্তব্যে ইউনেস্কো পরিচালক মাকি হায়াশিকাওয়া ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতির পেছনে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম নিজের বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য সাধারণ নেতৃত্বের কথাও স্মরণ করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সিল ইন্টারন্যাশনালের গবেষক ড. কির্ক পারসন ও তাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কৃইংকরাই ওয়াতানাসাওয়াড।
আলোচনা সভা শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন থাইল্যান্ড, ভারত, কলম্বিয়া, রাশিয়া, মেক্সিকো, চীন, কাজাকিস্তান, বেলজিয়াম, সুদানের শিল্পীরা।
এস ময় প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশিত, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, রাশিয়ার শিশু কিশোরদের পরিবেশনা ‘কাতিউশা’, কলম্বিয়ার শিল্পী জো এর স্প্যানিশ সংগীত সবার প্রশংসা কুঁড়ায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া, পেরু, কাজাকিস্তান, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পর্তুগাল, নাইজেরিয়া, পানামাসহ দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক কোরের সদস্য, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন কমিউনিটির দুই শতাধিক অতিথি।