মেক্সিকোয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
অন্য বছরের তুলনায় বড় পরিসরে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এ বছর পালিত হলো ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও SEDEREC-এর সহযোগিতায় এবার দিবসটি পালন করা হয়।
গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় SEDEREC সিটি সেন্টারের মিলনায়তনে। সেখানে রাখা শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দূতাবাসের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
এরপর উপস্থিত অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও মেক্সিকোয় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, উপস্থিত রাষ্ট্রদূত এবং সমবেত শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়া পানামা, প্যালেস্টাইন, জর্জিয়া, হন্ডুরাস এবং দক্ষিণ অফ্রিকার রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের নিজ নিজ ভাষায় বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক পটভূমি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভাষা আন্দোলনের অবদান, বাংলাদেশে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষা চর্চা এবং বৈশ্বিক প্রান্তিক ভাষা সংরক্ষণ বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ব্যবহার ও সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। এখানে আন্তর্জাতিক ভাষাসমূহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের নিজ নিজ ভাষায় মৌখিক ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। SEDEREC এর মন্ত্রী মেক্সিকোয় প্রচলিত ৬৮টিরও বেশি আদিবাসী ভাষার স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন মেক্সিকোর সংবিধান দিবস পালনের মাসে এমন একটা অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে তিনি উৎফুল্ল। তিনি দূতাবাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেন ও বহুভাষিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।