স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের সভা
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি একটি হোটেলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার সভাপতি মেক্সিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অসিম কুমার দে ও হিমেল ফারুক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সাদেকুল ইসলাম। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও যাদের প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি সেসব শহীদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের বিগত অনুষ্ঠানের কিছু স্থিরচিত্র ও একুশে পত্রিকা পাঠক ফোরাম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ভিডিও বার্তা প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, মার্চ মাস বাঙালির জাতির জীবনে ঐতিহাসিক মাস। ৭ মার্চ জাতির জনকের ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃত। মহানায়কের ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শুরু। জাতির ক্রান্তিকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন স্বাধীনতার মাসে অভিনব আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়াতে চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন দারুণ সম্প্রীতির মডেল স্থাপন করেছে। তিনি সব কোরিয়া প্রবাসীকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
কাউন্সিলর মো. মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি ফরিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক, আমিনুল হক, উপদেষ্টা রানা বডুয়া, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল হক ফারুকী, পিএইচডিরত ছাত্র মোহাম্মদ আজম খানসহ কোরিয়ায় বিভিন্ন কমিউনিটি ও সামাজিক ও মানবাধিকার কমিউনিটির নেতারা।
পরে চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি কোরিয়ায় বসবাসরত চট্টগ্রামের যেসব ছেলে ই ৯ থেকে ই ৭-৪ ভিসা পরির্তন করেছেন তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার জন্য কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরীকে সম্মাননা জানানো হয়।
চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথিদের উত্তরীয় দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অংশে গান পরিবেশন করেন শিল্পী সুমি বড়ুয়া।