মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালিত হয়েছে মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির জনকের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
দিনের কার্যসূচির শুরুতেই জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে।
আজ রোববার প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব ফরিদ আহমেদ ইসলামের পরিচালনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাই কমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার।
দিবসটির উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত প্রথমেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই সোনার বাংলা সৃষ্টি হতো না। আর এই সোনার বাংলা না হলে আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারতাম না। আর এই সম্মান শুধু জাতির জনকের কারণে হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা অনুকরণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আগত শিশুদের রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ। যে স্বাধীন দেশ বঙ্গবন্ধু আমাদের উপহার দিয়েছেন এবং সারা বিশ্বে তার উন্মেষ ঘটিয়েছেন তা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সহজ উপায় হলো তাঁর আদর্শকে মাথায় নিয়ে যে যার অবস্থানে থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।’
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন এবং গত ৯ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব বাণিজ্য মো. রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।