কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
ভারতের কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত।
কলকাতার স্মিথ রোডের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি কক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধা ও স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে উপ দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসানসহ উপ দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসানসহ অন্য কর্মকর্তারা। বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতিসহ কলকাতার বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কলকাতায় অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
এই দিনটি উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাস। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে, কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান, বিশেষ মোনাজাত, সকালে উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত।
দিবসটি উপলক্ষে বিকেল থেকে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীসহ কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯১০ সালে বেকার হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় এই হোস্টেলে থাকতেন। ১৯৪৫ থেকে ৪৬ সাল তিনি এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন। বর্তমানে ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ।
১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বরের কক্ষটিকে যুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর নামে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী।