প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের ছবি নিয়ে কেন বিশ্বজুড়ে তোলপাড়
মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের ছবি নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ওই শ্রমিকের ছবিটি দেখার জন্য। তাঁর বিস্ময়কর চাহনি, মুখের গড়ন আর চোখের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইন্টারনেট দুনিয়া। তাঁকে নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম স্টার অনলাইন।
গত বৃহস্পতিবার এই ছবিটি প্রথম পোস্ট করেন আবেদেন মুং নামের এক ফ্রিল্যান্সার। এর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তা রিটুইট হয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ বার। লাইক করেছেন ৬৮ হাজার ৭০০ মানুষ। আবেদেন মুং এই বাংলাদেশি শ্রমিকের ছবিটি জালান আইপোর কাছে এমআরটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থেকে ধারণ করেছিলেন বলে তার টুইট বার্তায় জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আবেদেন মুং বলেছেন, ‘আমি সেখানে কাজ করছিলাম। ঠিক তখনই তাকে দেখতে পাই। কিন্তু ওই সময় আমি অন্য একটি ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করছিলাম বলে তার ছবি নেওয়ার সুযোগ পাইনি। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে সেই একই স্থানে পেয়ে গেলাম। ফলে দ্রুততার সঙ্গে ছবিগুলো তুলে ফেলি।
‘আমি জানতাম, এটা খুব ভালো একটা শর্ট হতে যাচ্ছে। সেখানকার আলো ছবিটি তোলার জন্য খুবই চমৎকার ছিল। আর তার পোশাকও ভালো ছিল। মোট কথা, তার চোখ ছিল ফটোগ্রাফির জন্য সেরা চোখ।’
বাংলাদেশি ওই প্রবাসী সম্পর্কে মুং টুইটে আরো লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন অত্যন্ত লাজুক। বাস্তবেই তিনি জানেন না কোনদিকে তাকাতে হবে। এটা এজন্য হতে পারে যে, আমি ফোনে তার ছবি তুলছিলাম। আমি অনেকবার তাকে ক্যামেরার দিকে আনার চেষ্টা করলাম এবং বেশকিছু ছবি তুললাম। কিন্তু সেগুলো যথেষ্ট ভালো ছিল না। অনেকক্ষণ চেষ্টা করে তবেই আমি চূড়ান্তভাবে এই ছবিটি তুলতে পেরেছি।’
আবেদেন মুংয়ের এমন টুইটের জবাবে চিমপেং নামের একজন লিখেছেন, ‘তার চোখ বিস্ময়কর।’ তার নিচেই আরেকজনের মন্তব্য, ‘ওই যুবকের নজরকাড়া চাহনি, দৃঢ়চেতা মুখমণ্ডল।’
মিসি জোর-এল নামের একজন লিখেছেন, ‘ওর মুখটা খুবই সুন্দর। তার মুখের গড়ন বিস্ময়কর।’
ড্রিউওয়েহ নামে একজন বলেছেন, ‘এই ছটিটি ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের একটি প্রচ্ছদে ব্যবহৃত শরবত গুল এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই ছবিটি ধারণ করেছিলেন সাংবাদিক স্টিভ ম্যাকারি।’
শরবত গুল একজন আফগান নারী। তাঁর চোখ সবুজ। মাথায় ছিল লাল স্কার্ফ। স্টিভ ম্যাকারির ওই ছবিটি তখন সারা দুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
তবে ওই বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকের নাম জানা যায়নি।