ওয়েস্টার্ন কানাডায় কনস্যুলার অফিস খোলার দাবি প্রবাসীদের
কানাডার আলবার্টা প্রদেশে সম্প্রতি বাংলাদেশ হাইকমিশনের অটোয়া কার্যালয় নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদান, সত্যায়ন, জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে। বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টনের আমন্ত্রণে গত ২৮ ও ২৯ জুন দুদিনব্যাপী ওই ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করা হয়।
কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনেক সেবা সাধারণত ডাকযোগে প্রদান করা সম্ভব হয় না। যেমন—এমআরপি জন্য আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অটোয়া যেতে হয়। যদিও আলবার্টা প্রদেশের রাজধানী এডমন্টন এবং এর আশপাশের শহরগুলোতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন। এই প্রদেশ থেকে অটোয়ার দূরত্ব প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার। কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য অনেক সময় এটা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে হাইকমিশনের সেবা পৌঁছে দিতেই বাংলাদশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টন এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ভ্রাম্যমাণ সেবা নিয়ে এডমন্টন আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া বাংলাদশে সরকারেরও নীতি।’
হাইকমিশন দুদিনে চারশর বেশি আবেদনকারীকে নানা সেবা দিয়েছে। পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন এমআরপি প্রদান, সত্যায়ন, জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার আবেদন তাঁরা গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (ন্যাশনাল আইডি) জন্য আবেদনের বিষয়েও প্রবাসীরা হাইকমিশনের কাছে জানতে চান।
সম্প্রতি কানাডার টরন্টো শহরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এতে টরন্টোয় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু কানাডার অন্য প্রদেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের যেকোনো সেবা পেতে অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে যেতে হয়। তাই আলবার্টার মতো প্রেইরি প্রদেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ওয়েস্টার্ন কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি শাখা খোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আবেদন জানিয়ে আসছেন।