আপনার জিজ্ঞাসা
বাবার কবরে ছেলেকে কবর দেওয়া যায় কি?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৮৯তম পর্বে বাবার কবরের ওপর ছেলের কবর দেওয়া যাবে কি না, সে সম্পর্কে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন আবু বকর সিদ্দিকী। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার বাবা ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে ইন্তেকাল করেছেন। বর্তমানে আমার বয়স প্রায় ৫৭ বছর। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমার যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়, তাহলে কি আমার লাশ আমার বাবার কবরে সমাহিত করা যাবে? এ ব্যাপারে কি শরিয়তের কোনো বিধান আছে?
উত্তর : আপনার বাবা মারা গেছেন ১৯৯০ সালে। এখন আপনার বয়স ৫৭ বছর। আপনি আপনার মৃত্যুর ব্যাপারেও চিন্তা করছেন। মৃত্যুকে স্মরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনি জানতে চেয়েছেন, আপনার বাবার সেই কবরে আপনাকেও কবরস্থ করা বা দাফন করা যাবে কি না। হ্যাঁ, এটি জায়েজ, নাজায়েজ নয়।
একই জায়গায় একাধিক ব্যক্তিকে কবর দেওয়া জায়েজ রয়েছে, এটি নাজায়েজ নয়। একটি কবরের ওপর আরেকটি কবর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কবর খোঁড়ার পর যদি অবশিষ্ট কোনো হাড় বা কোনো কিছু থেকে যায়, তাহলে সেগুলো একসঙ্গে করে অন্যত্র আবার দাফন করে দেবে বা রেখে দেবে।
একই কবরের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন করা জায়েজ রয়েছে। কিন্তু যদি তাঁর লাশ রয়ে যায়, তাহলে সেখানে আর কবর দেওয়া যাবে না। এক লাশের ওপর আরেক লাশ কবর দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বিতর্ক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আর কবর দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই।
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এখানে হয়তো শহরগুলোতে কবরের জন্য জায়গার অভাব রয়েছে, কিন্তু গ্রামগঞ্জে কবরস্থান থাকে, সেখানে সুযোগ আছে। সেটা চিন্তা করা যেতে পারে। তারপরও ব্যবস্থা হয়ে যায়, কবর তো দেওয়াই যায়। আল্লাহ আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেই দেন।