তুরাগ তীরে মুসল্লির ঢল, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু শুক্রবার
আগামীকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দুইদিন আগে থেকেই টঙ্গীর তুরাগ তীরে জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। এবারও ইজতেমা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মুসল্লিদের সুবিধার্থে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে আয়োজকরা। তিন দিনব্যাপী এ পর্ব (১১ ফেব্রুয়ারি) রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার ২০২৪ সালের কার্যক্রমও শেষ হয়ে যাবে।
মাওলানা সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আগামীকাল থেকে রোববার পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠেয় হবে। এরইমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো বিদেশি মেহমান বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে তাবলীগে যুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে ইজতেমায় যোগ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা উপস্থিত হয়েছেন।’
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবার অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ইতোমধ্যে সামিয়ানা টাঙানো হয়ে গেছে। মাইক, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টয়লেট, রান্নার স্থানও প্রায় প্রস্তুত। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর ধর্মীয় বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। পরবর্তী তিন দিন দেশ-বিদেশের মাওলানারা বয়ান করবেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসা শুরু করেছেন। ইজতেমা স্থলের আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা হয়েছে বলে জানান জিএমপি উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান।
বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে ১৯৬৩ সাল থেকে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে তাবলিগের বর্তমান আমির ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আমির মানা না-মানাকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ওই বছর ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে এসে বিরোধের মুখে ফিরে যান সাদ কান্ধলভী। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তুরাগ ময়দানে সংঘর্ষে নিহত হন এক মুসল্লি। এরপর ২০১৯ সাল থেকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা শুরু করে।