উচ্চ তাপমাত্রায় হজযাত্রীদের যেসব পরামর্শ সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। অত্যাধিক এ তাপমাত্রার মধ্যেই হজযাত্রীরা একের পর এক আচার পালন করবেন। এতে এবার হিটস্ট্রোক ও তাপের প্রভাবে অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করেছে। খবর আল-অ্যারাবিয়ার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হিটস্ট্রোককে ‘একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এটি হলে অবশ্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। পাশাপাশি তাকে পানি ও তরল খাবার প্রদান করতে হবে। তার জন্য এয়ার-কন্ডিশনার (তাপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) বা বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করে চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তাপজনিত অসুস্থতা প্রসঙ্গে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ঘটে যখন হজযাত্রীরা দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকেন এবং এর ফলে তীব্র ঘাম হয়। এতে শরীরে থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়।
এক্ষেত্রে হজযাত্রীদের সূর্যের সরাসরি বিকিরণ থেকে দূরে থাকার, যথাসম্ভব তাপ ও ভিড় এড়িয়ে চলা এবং বেশি তরল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে এবং ফল ও শাকসবজির মতো পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরের হজ মৌসুমে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ আল-আব্দুল-আলী। খবর সৌদি গেজেটের।
সূর্যের সরাসরি বিকিরণ এড়াতে হজযাত্রীদের ছাতা বহনসহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আল-আব্দুল-আলী।
সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি (এনসিএম) জানিয়েছে, এ বছর হজের মৌসুমে পবিত্র স্থানগুলোতে আবহাওয়া গরম থেকে অতি গরম মাত্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। এই পরিস্থিতি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
গত ৬ জুন সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটিতে পরদিন ৭ জুন থেকে আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১২তম এ মাস শুরু হয়েছে। এই হিসাবে আগামী ১৫ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।