‘এমন কথা কেউ ঘুমিয়েও বলতে পারে না’, সালাউদ্দিনের মন্তব্য নিয়ে প্রতিমন্ত্রী
ক্রীড়া সাংবাদিকদের বাবা-মায়ের জুতা পরা ছবি নিয়ে কটূক্তি করে বেশ বিপাকে আছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সমর্থকদের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের মানুষেরাও তার এমন কাণ্ডে ব্যথিত। ইতোমধ্যেই ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
শনিবার (৬ মে) বিকেলে শহীদ ক্যাপ্টেন (অব) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে আইএইচএফ টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচনের পর বাফুফে প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এই খেলাগুলোকে যারা মানুষের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দেন, আমাদের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করেন, সেই তাদের বিপক্ষে এমন উক্তি—এটা শুনে সত্যি আমি মর্মাহত হয়েছি। কষ্ট পেয়েছি।’
বাফুফে সভাপতির মন্তব্যের নিন্দা করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, “এই ধরনের কথা কেউ ঘুমিয়েও বলতে পারে না, আমি বিশ্বাস করি না। সেটা ‘অব দ্য রেকর্ড’ বা ‘অন দ্য রেকর্ড’ হোক। এই ধরনের পদে থেকে এই কথা বলতে পারে না। এটা পুরো বাংলাদেশের যারা শুনেছে তারাই কষ্ট পেয়েছে। কারও পরিবার নিয়ে কথা বলা, এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। কারও পরিবার নিয়ে কথা বলা উচিত না। এটা খুবই নিন্দিত কাজ হয়েছে।”
এর আগে গত ২ মে (মঙ্গলবার) বাফুফে ভবনে সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী এবং সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে একান্তে কিছু কথা বলেন সালাউদ্দিন। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সাধারণত প্রেস কনফারেন্স শুরুর আগে সাংবাদিকরা তাদের হাতে থাকা বুম, মাইক্রোফোন বা রেকর্ডার যন্ত্রগুলো চালু করে দেন। যে কারণে সালাউদ্দিনের কথাবার্তা ধরা পড়ে!
ঠিক ওই সময় সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাফুফেতে সাংবাদিক প্রবেশ করতে হলে বাবার ছবি লাগবে! জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মার। আরেকটা কন্ডিশন হলো তার বাপের ফটো পাঠাবে, জুতা পরা। ঠিক আছে? এটা হতে হবে মেন্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’
আর এই ঘটনার অডিও প্রকাশের পরই সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে অনেকটা চাপের মুখে পড়ে শেষমেষ ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চান সালাউদ্দিন।