এমবাপ্পেকে টপকে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি। একের পর এক অর্জনে নিজেকে কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। সবুজ আঙিনায় নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পাশাপাশি পুরস্কার জেতার দিক দিয়েও মেসি এখন অনন্য, অসাধারণ। কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জয়ের পর এবার মেসির ঝুলিতে যোগ হলো ২০২২ সালের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কার।
নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারটা ব্যক্তিগত সব পুরস্কার দিয়ে পূর্ণ করে ফেলেছেন মেসি। ছন্দময় ফুটবল দিয়ে জিতেছেন একের পর এক পুরস্কার। এবার দুই প্রতিদ্বন্ধী কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন মেসি। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি।
গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে প্যারিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। মেসির হাতে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
২০২১ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০২২ সালে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্সকে বিবেচনা করেই ‘ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ এর বিজয়ী নির্বাচিত করে ফিফা। আর এই অ্যাওয়ার্ডের লড়াইয়ে বেনজেমা ও এমবাপ্পের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
যার মূল কারণ আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়। ৭ গোলের পাশাপাশি ৩ অ্যাসিস্টে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মেসির। এ ছাড়া দেশকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমা। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাবের জার্সিতেও সফল ছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। পিএসজির জার্সিতে জিতেছেন লিগ ওয়ান শিরোপা ও ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ। এর আগে ২০১৯ সালে বার্সায় থাকাকালীন ‘ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন মেসি।
অন্যদিকে, ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে কাতার বিশ্বকাপে দলকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। পাশাপাশি ক্লাবের জার্সিতেও ধারাবাহিকভাবে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন এই ফরাসি তারকা।
আরেক ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা ২০২২ সালে জিতেছেন ফিফা ব্যালন ডি অরের পুরস্কার। তাই তার সামনে সুযোগ ছিল এবার ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডও নিজের নামে করে নেওয়ার। কিন্তু মেসির সামনে সেটা আর সম্ভব হয়নি।