ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮, খালেদের ৫ উইকেট
লড়াইয়ে টিকে থাকতে আজ রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত অলআউট করাই মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যে কিছুটা হলেও সফল সফরকারীরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়েছে বাংলাদেশ।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিন এসে প্রথম ইনিংসে ৪০৮ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ করা কাইল মায়ার্স খেলেছেন ২০৮ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস। ১৭৬ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ করেছেন খালেদ আহমেদ। ৩১.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০৬ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া মিরাজ নিয়েছেন তিনটি আর শরিফুল নিয়েছেন দুটি।
পাঁচ উইকেটে ৩৪০ রান নিয়ে আজ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শুরুতেই ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশি অফ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেওয়া বল বুঝতে পারেননি জশুয়া। সুইপ করার চেষ্টায় টাইমিং ঠিক রাখতে পারেননি। ফলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। ১১৫ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর উইকেটে আসা আলজারি জোসেফকে টিকতে দেননি খালেদ। জোড়া উইকেট নিয়ে প্রথম ঘণ্টা দারুণ পার করে বাংলাদেশ। এরপরেই বৃষ্টি নামে সেন্ট লুসিয়ায়। বৃষ্টির কারণে প্রথম সেশনে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। ১০ ওভারে ৩৬ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করতে হয় ক্যারিবীয়দের।
লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সবচেয়ে বড় বাধা কাটায় বাংলাদেশ। মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো কাইল মায়ার্সকে ফিরিয়ে দেন খালেদ। মায়ার্স ফেরার পর বাকি উইকেটগুলো তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের থামায় বাংলাদেশ।
এর আগে গতকাল শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনও নিজেদের করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মায়ার্সের সেঞ্চুরিতে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ক্যারিবীয়রা। তাই সেন্ট লুসিয়ায় লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ব্যাটিংয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৩৪০ রান। মোট ১০৬ রানের লিড নিয়ে আজ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০৮ রানে।
এর আগে গত শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিন আগে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৪০/৫) ১২৬.৩ ওভারে ৪০৮ (ব্র্যাথওয়েট ৫১, ক্যাম্ববেল ৪৫, ব্ল্যাকউড ৪০, বোনার ০, রেইফার ২২, মায়ার্স ১৪৬, জশুয়া ২৯, জোসেফ ৬, রোচ ১৮*, ফিলিপ ৯, সিলস ৫; শরিফুল ১৯-৬-৭৬-২, খালেদ ৩১.৩-৩-১০৬-৫, সাকিব ১৮-৫-৪৬-০, ইবাদত ১৯-৬-৫৬-০, মিরাজ ৩৯-৮-৯১-৩)।