পেস ইউনিট নিয়ে যা বললেন হাসান মাহমুদ
একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড স্বপ্ন বুনছেন। খেলোয়াড়রাও নিজেদের গড়ে তুলতে পরিশ্রম করছেন নিয়মিত, পাচ্ছেন সুফল।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটাররা হতাশ করলেও যথেষ্ট ভালো করছিলেন বোলাররা। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ২৪৭ রানের লক্ষ্যে নামা আইরিশরা ১৬.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৫ রান। সমান একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ দলে আগামীর পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা ভাবা হচ্ছে হাসান, শরীফুল, এবাদতদের।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আগে বল হাতে আইরিশদের পরীক্ষা নিতে পেরেছেন দুই পেসার হাসান ও শরীফুল। ৫-০-২১-১, দুজনেরই বোলিং ফিগার এক। উইকেটশূন্য থাকলেও ৪.৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন এবাদত। ম্যাচ শেষে নিজেদের বোলিং ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন হাসান মাহমুদ।
একটি ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন বলে যতটুকু সম্ভব সুইং করা, স্ট্যাম্পে বল করা, সামনে বল করা। মোটামুটি ভালো শুরু করেছি আমি ও শরীফুল। ওদেরকে অনেক ঝামেলায় ফেলতে পেরেছি। ওদের তিন উইকেটেরে দুটি আমরা পেয়েছি। উইকেটটা খুব ভালো ছিল। বাউন্স ছিল, সুইং ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লাইন-লেন্থ মেনে বল করতে।”
পুরো পেস বিভাগ নিয়ে হাসান মাহমুদের জবাব হলো, “আমাদের পেস বোলিং ইউনিটটা খুব ভালো। তাসকিন, মুস্তাফিজ, এবাদত, শরীফুল- সবাই রিদমে আছে। চেষ্টা করব যেন একটা ইউনিট হয়ে বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারি। তাসকিন ভাই চোটে আছেন। তিনি ফিরলে শক্তি আরও বাড়বে। তাসকিন ভাইকে মিস করছিলাম।”
বদলে যাওয়ার পেছনের অন্যতম কারিগর অ্যালান ডোনাল্ডের শিক্ষা ও পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চান হাসান মাহমুদ। আর তাদের হাত ধরে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ।