মেয়েকে টেনিস খেলোয়াড় বানাতে চান সেরেনা
একদিন আগেই চলমান ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস। জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে নিজের মেয়ের প্রসঙ্গও আনেন এই টেনিস তারকা। জানান, নিজের ক্যারিয়ার রেখে মেয়ের হাতে র্যাকেট তুলে দিতে চান তিনি। কারণ, তাঁর মেয়ে অলিম্পিয়া টেনিসের বিশাল ভক্ত।
অলিম্পিয়ার বয়স বেশি হয়নি। ২০১৭ সালে সেরেনা-ওহানিয়ান দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় অলিম্পিয়া। এই তিন বছর বয়সেই মায়ের টেনিস খেলার ভক্ত হয়ে গেছে সে। মায়ের অনুশীলনও বেশ উপভোগ করে ছোট্ট অলিম্পিয়া।
মেয়ের টেনিস-প্রেম নিয়ে সেরেনা বলেন, ‘আমার মেয়ে টেনিসের ভক্ত। টেনিস দেখতে ও খুব পছন্দ করে। আমি অনুশীলন করার সময় সে মনোযোগ দিয়ে দেখে।’
ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে স্লোয়ান স্টিফেন্সের বিরুদ্ধে সেরেনা যখন লড়াই করছেন, তখন স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল অলিম্পিয়াকে। বাবার কোলে বসে খেলা দেখেছিল সে। মায়ের দিকে হাসতে হাসতে হাতও নাড়ছিল।
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে সাকারিকে হারানোর ম্যাচে সেরেনা বলেন, ‘এই কোর্টে যখন আমি অনুশীলন করি, ওর খুব ভালো লাগে। কারণ, ও বসে বসে দেখতে পারে। ওর বয়স এখন তিন বছর। আমার যেন মনে হচ্ছে, আমার ক্যারিয়ার থাক, ওর হাতে একটা র্যাকেট তুলে দিই। সত্যি বলছি, ওর বাবাকেও সেটা আগের দিন বলছিলাম।’
গত সোমবার নিউইয়র্কের ফ্ল্যাশিং মিডোসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সারাকিকে ৬-৩, ৬-৭ (৬-৮), ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। এদিন প্রথম সেটে ৩৭ মিনিটে জিতেছেন সেরেনা। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে হেরে বসেন এই টেনিস তারকা। দ্বিতীয় রাউন্ডে হারলেও শেষ রাউন্ডে কোনো অঘটন ঘটেনি। ৬-৩ গেমে জিতে দারুণ জয় তুলে নেন প্রতিযোগিতার ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন।
জয়ের পর সেরেনা বলেন, ‘রেকর্ড নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না। পরিস্থিতি খুব কঠিন ছিল। আমি শুধু লড়াই করে গেছি। আমার প্রতিপক্ষ খুব আগ্রাসী টেনিস খেলেছে। আমি জানতাম, আমায় কী করতে হবে। দর্শক থাকলে তাঁদের হাততালির জন্য একটু সময় পাওয়া যায়। এখন সেটার উপায় নেই। দর্শকদের অভাব অনুভব করছি।’
শেষ আটের লড়াইয়ে বুলগেরিয়ার সভেতানা পিরোনকোভার বিপক্ষে লড়বেন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মার্গারেট কোর্টকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা সেরেনা।