ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পেলে
পেলে নাকি ম্যারাডোনা, কে সেরা— তা নিয়ে তর্ক সব সময়ের। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুতে পেলে হারালেন তাঁর চরম প্রতিদ্বন্দ্বীকে। তবে ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পেলে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পেলে। আর্জেন্টাইন তারকার মৃত্যুতে নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, তিনি বন্ধুকে হারালেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পেলে জানিয়েছেন, ‘আকাশের উপরে আমরা দুজন অবশ্যই একদিন ফুটবলে শট নেব।’
এদিকে পেলে নাকি ম্যারাডোনাকে নিয়ে অনেক তর্ক হলেও ব্যক্তিগত জীবনে একে-অপরকে বন্ধু বলেই সম্বোধন করতেন তাঁরা। খেলা ছাড়ার পর থেকে অনেক অনুষ্ঠানেই পেলে ও ম্যারাডোনাকে দেখা গেছে একসঙ্গে। দুই কিংবদন্তির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ছিল অগাধ।
আজ বুধবার ম্যারাডোনা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর্জেন্টিনায় তিগ্রেতে নিজ বাসায় মারা যান ম্যারাডোনা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
এই কিছুদিন আগে মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল ম্যারাডোনার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গিয়েছিলেন অতিরিক্ত অ্যালকোহল আসক্তি থেকে সেরে ওঠার নিরাময় কেন্দ্রে।
এর পর বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। সেখানেই আজ মারা যান তিনি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি প্রায় একাই। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে তাঁর বেড়ে ওঠা। তিন কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান।