সাকিবের ফেরার ম্যাচে জয় পেল মোহামেডান
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং যেন ছন্নছাড়া এক দল। তারকাসমৃদ্ধ দলটি প্রথম ৫ ম্যাচে ছিল জয়হীন। যদিও এই ম্যাচগুলোতে খেলেননি সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষে খানিকটা সময় পেয়েই ফিরলেন সাকিব। আর সাকিবের ফেরার ম্যাচে কাঙ্খিত জয়ের দেখা পেল এতিহ্যবাহী দলটি।
আজ শনিবার (১ এপ্রিল) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯০ রান। জবাবে ৪৯.২ ওভারে ২৬৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। যার ফলে ২২ রানের জয় পায় মোহামেডান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গেল আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে নাম লিখিয়েও খেলা হয়নি সাকিব আল হাসানের। এ বছরও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দলে ভিড়িয়েছে মোহামেডান। কিন্তু জাতীয় দলের ব্যস্ততায় তাঁকে ম্যাচে পাওয়া বড় কঠিন মোহামেডানের।
অবশেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে কিছুটা সুযোগ পাওয়াতে মোহামেডানের জার্সিতে পাওয়া গেল সাকিবকে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের জার্সিতে মাঠে নেমে খুব একটা জ্বলে উঠতে পারলেন না সাকিব। শেখ জামাল ধানমণ্ডির বিপক্ষে ৮ বলে ৫ রান করে থেমেছেন মোহামেডান তারকা।
চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলে গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতেই ঢাকায় চলে এসেছেন সাকিব আল হাসান। ঢাকায় ফিরে আজ শনিবার (১ এপ্রিল) নেমে গেলেন মাঠে। কিন্তু মাঠে নেমেও অবনমনের শঙ্কায় থাকা মোহামেডানের হয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারলেন না তিনি। বিকেএসপিতে হওয়া ম্যাচটিতে ভারতীয় অফস্পিনার পারভেজ রসুলের অফস্পিনে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাকিব।
অবশ্য সাকিব ব্যর্থ হলেও খারাপ করেনি মোহামেডান। শেষের ঝড়ে ভালো সংগ্রহই পেয়েছে তারা। শেখ জামালের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২৯০ রান সংগ্রহ করেছে মোহামেডান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১০১ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েস। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ ৫১ বলে ৪৮ রান করেন। এ ছাড়াও শেষ দিকে আরিফুল হক করেন ৩১ বলে ৩৯ রান। আর ইংলিশ ক্রিকেটার জেইক লিন্টট অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২৪ রান করে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে শেখ জামাল। টেবিল টপার দলটি উদ্বোধনী জুটিতেই জড়ো করে ৮৩ রান। তবে সৈকত আলী ও সাইফ হাসানের বিদায়ে চাপে পড়ে শেখ জামাল। এরপর ভালোভাবেই সেই চাপ সামাল দেয় পারভেজ রসূল ও ফজলে রাব্বি। তবে তাদের ব্যাটিংও দলটির হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। মোহামেডানের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ও জ্যাক লিনটট ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।