মালিকের শতকে পাকিস্তানের সহজ জয়
সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন প্রায় দুই বছর আগে, ২০১৩ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। মঙ্গলবার ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই শতকের আনন্দে উদ্বেল শোয়েব মালিক। প্রথম ওয়ানডেতে মালিকের দুর্দান্ত শতকের সঙ্গে তিন জনের অর্ধশতকের যোগফলে বিশাল সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান সহজেই ৪১ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিক দল তাই এখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী। অধিনায়কের সঙ্গে মোহাম্মদ হাফিজের ১৫৬ বলে ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে অতিথিদের। ৮৩ বলে ৮টি চার ও চারটি ছক্কায় ৮৬ রান করেছেন হাফিজ। ৭৬ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কায় আজহারের অবদান ৭৯ রান।
দলীয় ১৭০ রানে আজহার ও ১৭৪ রানে হাফিজকে হারালেও রানের পাহাড় গড়তে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। কারণ মালিক ও হারিস সোহেলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। দুজনে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ১৩৭ বলে ২০১ রানের জুটি গড়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি। আগেরটা ছিল জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আমির সোহেলের ১৪৫ রানের, ১৯৯২ সালে হোবার্টে।
ওয়ানডেতে অষ্টম এবং ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথম শতকের দেখা পাওয়া মালিকের ৭৬ বলে ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা সাজানো ১২টি চার ও দুটি ছক্কায়। ৬৬ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান হারিস। দুজনের তাণ্ডবে শেষ ১০ ওভারে ১১২ রান উপহার পাওয়া পাকিস্তান মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই পেয়ে গেছে ৩৭৫ রান। এটাও একটা রেকর্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর। আগেরটা ছিল ২০০৭ সালে জ্যামাইকার কিংস্টনে ৩৪৯ রান।
শুধু শোয়েব মালিক নন, সেঞ্চুরি করেছেন এল্টন চিগুম্বুরাও। তবে চিগুম্বুরার ৯৫ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কায় গড়া ১১৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস জয় এনে দিতে পারেনি জিম্বাবুয়েকে। পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করা অতিথিদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। ৪৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
শুক্র ও রোববার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডের ভেন্যুও গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।