ফিরেই স্বরূপে মুস্তাফিজ

গত জুলাইতে সাসেক্সের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও রয়্যাল লন্ডন কাপে অংশ নিতে গিয়েই চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে তাঁকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করাতে হয়েছিল।
এর পর ঢাকায় ফিরে দীর্ঘদিন পুনর্বাসনে ছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। এ কারণে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি। খেলতে পারেননি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)।
দীর্ঘদিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। দলে ফিরলেও কাটার-মাস্টারকে নিয়ে ঠিকই গুঞ্জন ছিল, নিউজিল্যান্ড সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন তিনি? অস্ট্রেলিয়ায় দুটি অনুশীলন ম্যাচের একটিতেও খেলতে না পারায় এই গুঞ্জনের ডালপালা মেলতে থাকে।
সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ঠিকই মাঠে ফিরেছেন কাটার-মাস্টার। ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বল হাতে যথেষ্টই ভালো করেছেন তিনি। সাত ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেছেন, তার পরও বেশ স্বরূপে দেখা গেছে এই বাঁহাতি পেসারকে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজই। স্বাগতিক দলটির ওপেনার রায়ান ডাফিকে দলীয় মাত্র ৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান তিনি। অসাধারণ একটি বলে উইকেটের পেছেনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাঁকে আউট করেন কাটার-মাস্টার।
তরুণ বাঁহাতি পেসারের দ্বিতীয় শিকার হেনরি বার্টন। ৩৬তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৯৯ রানের মাথায় তাঁকে আউট করে নিজের ঝুলিটাকে আরো সমৃদ্ধ করেন এই তিনি।
এদিন খুব বড় কোনো সাফল্য না পেলেও দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার মতো যথেষ্টই ফিট হয়েছেন তিনি। তাই ২৬ ডিসেম্বর স্বাগতিক কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তাঁকে প্রথম একাদশে দেখা যেতেও পারে।