সৌরভ বললেন, আমি যোগ্য নই!
কে হচ্ছেন বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) পরবর্তী সভাপতি? ভারতজুড়ে মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন এটি। অনুরাগ ঠাকুর-অজয় শিরকের উত্তরাধিকারী খোজার দায়িত্ব দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের ওপর। কয়েকদিন বাদেই হয়তো উত্তর পাওয়া যাবে। তবে আপাতত এই হট সিটের জন্য যাঁর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছিল সেই সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির জন্য যোগ্য মনে করছেন না!
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমার নামটা আসা অপ্রত্যাশিত। আমি এ পদের যোগ্য নই। সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মাত্র এক বছর পার করেছি। আরো দুই বছর আমার মেয়াদ আছে। তাই আমি এই পদের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নেই।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে ইডেনের ক্লাব হাউসে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এরপরই বিষয়টি চাউর হয়ে যায় যে, বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার জন্য তোরজোর শুরু করে দিয়েছেন সৌরভ। তবে এর পরই সব উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেন মহারাজ। তিনি বলেন, ‘সিএবির সভাপতি হিসেবে এখনো দুই বছর মেয়াদ বাকি। তাই বোর্ড সভাপতি হওয়ার দৌড়ে থাকছি না আমি।’ তবে কলকাতার কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, বোর্ড সভাপতি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সৌরভ।
সিএবির সভাও ডাকা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদেরও সেই বৈঠকে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিএবির যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দেকে অবসরের কথাও নাকি বলা হয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরবর্তী সভাপতির নামও নাকি ভেবে রেখেছেন সৌরভ। তবে আপাতত সবই গুজব হিসেবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে বোর্ড সভাপতি হিসেবে গৌরভ গাঙ্গুলীর নাম আলোচনায় আনেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।
উল্লেখ্য, লোধা কমিটির রায় না মানায় গত সোমবার অনুরাগ ঠাকুর ও সচিব অজয় শিরকেকে অপসারিত করেন সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এ সময় পর্যন্ত বোর্ডের কাজ পরিচালনা করবেন দুজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের জন্য সাবেক সলিটরি জেনারেল ফালি নরিম্যন ও সিনিয়র আইনজীবী গোপাল সুব্রমনিয়ামকে আদেশ করেছেন আদালত। বিসিসিআই সভাপতি পদে অপর আলোচিত প্রার্থীরা হলেন ব্রিজেশ পটেল ও অমিত শাহরপুত্র জয় ও সুনীল গাভাস্কার।