ব্ল্যাটার আবার ফিফা সভাপতি
অনেক সংশয় ছিল, ছিল অনেক জল্পনাও। সেপ ব্ল্যাটার আবার ফিফার সভাপতি হবেন, নাকি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন সভাপতির দেখা পাবে তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে টান-টান উত্তেজনায় ছিল পুরো ফুটবল-দুনিয়া। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী ব্ল্যাটার।
শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্ল্যাটারের একমাত্র প্রতিপক্ষ ছিলেন জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন। ফিফা সভাপতি হওয়ার জন্য কোনো প্রার্থীকে ২০৯টি ভোটের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১৪০ ভোট পেতে হয়। প্রথম দফা ব্ল্যাটার ১৩৩ আর প্রিন্স আলী পান ৭৩ ভোট। বাকি তিন ভোট বাতিল হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়া প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। তবে তার আর প্রয়োজন পড়েনি। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগে সরে দাঁড়ান প্রিন্স আলী। তাই আরো চার বছরের জন্য ফিফা সভাপতির দায়িত্বে ব্ল্যাটার। যে দায়িত্ব তিনি পালন করে আসছেন ১৯৯৮ সাল থেকে।
গত বুধবার থেকে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ফুটবল-বিশ্ব সরগরম। জুরিখের একটি হোটেল থেকে ফিফার সাত শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, জুরিখেই ফিফার সদর দপ্তরে পুলিশের হানা দেওয়ার ঘটনায় থমকে গিয়েছিল ফুটবল-বিশ্ব।
অনেকেই ভেবেছিলেন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর, সেই ব্ল্যাটার বোধহয় নির্বাচনে হেরে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। ইউরোপের বেশিরভাগ সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ভোট প্র্রিন্স আলী পেয়েছেন। তবে এশিয়া আর আফ্রিকার একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়ে বাজিমাত করেছেন ব্ল্যাটার।
নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ফিফা কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে পুননির্বাচিত হলে ফিফাকে দুর্নীতিমুক্ত করার অঙ্গীকার করে ব্ল্যাটার বলেছিলেন, ‘যে ঝড় উঠেছে তার দায় আমি স্বীকার করছি। তবে একই সঙ্গে আমি প্রতিজ্ঞা করছি ফিফাকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার। আমি চাই ঝড় থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুন্দর, শক্তিশালী ফিফা।’
তবে যে ‘ঝড়’ উঠেছে তা সামলে ঘুরে দাঁড়ানো ফিফার জন্য তেমন সহজ হবে না। ব্ল্যাটারের সামনে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জ।