রুবেলের চোট গুরুতর নয়
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পথে তখন। ইনিংসের ৮৪তম ওভারে পঞ্চম বলে হাতে আঘাত পান পেসার রুবেল হোসেন। ট্রেন্ট বোল্টের লাফিয়ে ওঠা একটি বল তাঁর কনুইয়ে আঘাত হানলে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেও ছিলেন এই অভিজ্ঞ পেসার।
তবে বিষয়টাকে একেবারেই অবহেলা করেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম দিনের খেলা শেষে ক্রাইস্টচার্চের স্থানীয় এক হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষা করাতে। স্বস্তির খবর হলো, এক্স-রেতে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। তাই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে কোনো সমস্যা নেই তাঁর।
দলে থাকলেও সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পাননি এই অভিজ্ঞ পেসার। তা নিয়ে কম সমালোচনাও হয়নি। এই সমালোচনার কারণে সংবাদমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই তাঁকে একাদশে নেওয়া হয়েছে।
তারপরও রুবেলের ব্যথা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ চোটের কারণে দলের তিন নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হককে দলের বাইরে চলে যেতে হয়েছে। এবার যদি রুবেলেরও একই অবস্থা হয়, তাহলে দলকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। শেষ পর্যন্ত কোনো শঙ্কার কথা শুরুতে হয়নি বাংলাদেশকে।
অবশ্য এদিনে বাংলাদেশ টসে হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৮৯ রান করে। ওপেনার সৌম্য সরকারের দারুণ ইনিংস (৮৬), সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি (৫৯) এবং অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহানের ৪৭ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এই স্কোর গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখে।