ইংল্যান্ডের রেকর্ডগড়া জয়

নিউজিল্যান্ড ছিল বিশ্বকাপের রানার্সআপ। আর ইংল্যান্ড, বাংলাদেশের কাছে হেরে ছিটকে পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। ফলে এ দুই ‘ল্যান্ডের’ লড়াই অসম হলেও যে অবাক হওয়ার কিছু নেই, তা বলা হচ্ছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা অসমই হলো। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একতরফা জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। ২১০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়টা ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড। দারুণ এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৪০৯ রানের দুরূহ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ১৯৮ রানে।
বার্মিংহামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পেরিয়েছে চারশ রানের কোটা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৪০৮ রানই তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নতুন রেকর্ড। বিরল একটি কীর্তি গড়েছেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। গ্রায়েম হিকের পর দ্বিতীয় ইংলিশ স্পিনার হিসেবে একই ওয়ানডেতে করেছেন অর্ধশতক ও বল হাতে নিয়েছেন চারটি উইকেট। দারুণ এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েও অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জোটেনি রশিদের ভাগ্যে।
৭৭ বলে ১২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন জস বাটলার। শতক হাঁকিয়েছেন জো রুটও। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৭৮ বলে ১০৪ রানের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে ওয়েন মরগানকে সঙ্গে নিয়ে রুট গড়েছিলেন ১২১ রানের জুটি। ইংল্যান্ড অবশ্য রানের পাহাড়ে চড়েছিল বাটলার ও রশিদের রেকর্ডগড়া জুটির সৌজন্যে। তাঁদের গড়া ১৭৭ রানের জুটিই সপ্তম উইকেটে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ।
৪০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি আশপাশেও যেতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। গুটিয়ে গেছেন মাত্র ১৯৮ রানে। সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংসটি এসেছে রস টেলরের ব্যাট থেকে। ৪৫ রান করেছেন কেইন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের পক্ষে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ ও স্টুয়ার্ট ফিন।