৪৯৪ রানে থামল শ্রীলঙ্কা

গল টেস্টে খেলায় ফিরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই শ্রীলঙ্কা দলকে গুটিয়ে দিয়েছেন মিরাজ-মুস্তাফিজরা। প্রথম ইনিংস শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪৯৪ রান।
আজ দিনের প্রথম সেশনে দ্রুতই লঙ্কানদের দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লাঞ্চের পর রঙ্গনা হেরাথকে আউট করেন মুস্তাফিজ। আজ দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন কুশল মেন্ডিস। মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅনে তামিমের দুর্দান্ত ক্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন এই ব্যাটসম্যান। ২৮৫ বলে ১৯৪ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ১৯ চার ও চারটি বিশাল ছয়ের মার ছিল এই ব্যাটসম্যানের ইনিংসে।
এর পর গত দিনের অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েল্লাকেও ফেরান বাংলাদেশি অফস্পিনার। মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডিকওয়েল্লা। ৭৬ বলে ছয়টি চার ও এক ছয়ে ৭৫ রান করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। লাঞ্চ থেকে ফিরে রঙ্গনা হেরাথকে ফিরিয়ে দেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন লঙ্কান অধিনায়ক। হেরাথ আউট হওয়ার পর লাকমালকে রান আউট করেন মুস্তাফিজ। মিরাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে আউট হন দিলরুয়ান পেরেরা। ৭৭ বলে ৫১ রান করেন দিলরুয়ান।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সান্দাকানকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। মিড অফে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন মিরাজ।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ চারটি উইকেট নেন। এ ছাড়া মুস্তাফিজ দুটি, তাসকিন, শুভাশীষ ও সাকিব নেন একটি করে উইকেট।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক। বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য দারুণ হয়েছিল। নিজের প্রথম ওভারে উপুল থারাঙ্গাকে দুর্দান্তভাবে বোল্ড করেছেন পেসার শুভাশীষ রায়। ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে শুভাশীষের দারুণ এক ইনসুইংয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন থারাঙ্গা।
পরের বলে কুশল মেন্ডিসকেও তুলে নিয়েছিলেন শুভাশীষ। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে নো বলের কারণে সেই যাত্রায় বেঁচে যান মেন্ডিস।
এরপর দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে বেশ ভোগান মেন্ডিস। তবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ হওয়ার আগের ওভারে করুনারত্নেকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৬ বলে দুটি চারে ৩০ রান করেন করুনারত্নে।
এরপর উইকেটে এসে রানের জন্য যুদ্ধ করতে থাকেন দিনেশ চান্দিমাল। রান বের করতে ঘাম ছুটে যায় এই লঙ্কান ব্যাটসম্যানের। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে মাত্র ৫ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন চান্দিমাল। এরপর কুশল মেন্ডিস ও আসেলা গুনারত্নে লঙ্কানদের রানটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
২০০২ সালে কুমার সাঙ্গাকারা ও অরবিন্দ ডি সিলভার করা ১৫০ রানই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ১৫ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে দিল মেন্ডিস-গুনারত্নে জুটি। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে তাসকিনের বলে বোল্ড হন গুনারত্নে।