ধোনি-মুস্তাফিজের জরিমানা
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ‘বিতর্কিত’ আম্পায়ারিংয়ের রেশ ধরেই যেন আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। যার কেন্দ্রে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রিজের মধ্যে দুজনের সংঘর্ষের ঘটনা শুধু গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনায় থেমে নেই। দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা করেছে আইসিসি।
ওই ঘটনায় অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে থাকা ধোনির দোষ যে বেশি, তা বোধহয় মেনে নিয়েছে আইসিসি। ভারতের সফলতম অধিনায়কের ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আর অভিষেকেই আলো ছড়িয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মুস্তাফিজুরকে দিতে হবে ম্যাচ ফির অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার প্রথম ওয়ানডেতে আলোচিত ঘটনাটার জন্ম ভারতীয় ইনিংসের ২৫তম ওভারে। তখন প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ১২৩ রান করা ভারতের সামনে হারের আশঙ্কা। সে সময় মুস্তাফিজের বল মিডঅফে ঠেলে রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন ধোনি। আর মুস্তাফিজ বলের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন ক্রিজের মধ্যে। বল করার পর ক্রিজের মধ্যে বোলারের ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিকেটীয় আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু ২৬৩টি ওয়ানডে খেলা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ধোনি যেভাবে ১৯ বছর বয়সী মুস্তাফিজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন, তাও ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী। ক্রিকেট বিশ্বে সবাই যাকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামে চেনে, সেই ধোনির এমন ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ আচরণ ভারতের বেশ কিছু গণমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
ধোনির ধাক্কায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল মুস্তাফিজকে। শুশ্রূষা করে, সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরে তিনিই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। অভিষেক ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসার তুলে নিয়েছেন রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেট।