সহজ জয়ের শুভসূচনা জার্মানির

বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে কনফেডারেশন্স কাপে জায়গা করে নেয় জার্মানি। প্রথম ম্যাচে এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সামনে পড়তে হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটিকে। তবে তাতে খুব একটা বেকায়দায় পড়তে হয়নি জার্মানদের। অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কনফেডারেশন্স কাপে শুভসূচনা করল জোয়াকিম লোর দল।
রাশিয়ার সোচি অলিম্পিয়িস্কি স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় জার্মানি। এরপর প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে সমতায় আসে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমার্ধ শেষের এক মিনিট আগে আবার এগিয়ে যায় জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৫৬ মিনিটে ব্যবধানটা কমালেও শেষ পর্যন্ত জার্মানির সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের মহড়া হিসেবে পরিচিতি কনফেডারেশন্স কাপে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে জার্মানি। পরিচিত মুখ বলতে কেবল জুলিয়ান বান্ডার্ট, জুলিয়ান ড্রাক্সলার ও স্কোদ্রান মুস্তাফি। তবে ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যেতে সমস্যা হয়নি জার্মানির। খেলা শুরুর পঞ্চম মিনিটেই লার্স স্টিনডেলের গোলে লিড নিয়ে নেয় জার্মনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বান্ডার্টের ক্রসে বল পেয়ে সরাসরি অসিদের জালে বল পাঠিয়ে দেন স্টিনডেল। এরপর খেলায় আবার এগিয়ে যেতে পারত জার্মানি। তবে আক্রমণভাগের সমন্বয়হীনতার অভাবে শেষ পর্যন্ত গোল পায়নি লোর দল।
উল্টো এই অর্ধে গোল হজম করে বসতে হয় জার্মানদের। ৪১তম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে গোল খেয়ে বসে জার্মানি। টমাস রগিকের গোলে সমতায় ফিরে অস্ট্রেলিয়া। তবে অসিদের উৎসবটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষ মূহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডাররা গোরেতজাকে ফাউল করে বসলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক জুলিয়ান ড্রাক্সলার। ২-১ গোলের ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় জার্মনি।
বিরতির পরই আবার এগিয়ে যায় জার্মানি। ৪৮ মিনিটে সহজ এক গোল করেন গোরেতজা। পোস্টের একবারে সামনে বল পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তবে ৫৬ মিনিটে ব্যবধানটা কমায় অস্ট্রেলিয়া। রগিককে ফাউল করে বসেন গোরেতজা। ফ্রিকিক নেয় অস্ট্রেলিয়া। জটলার মধ্যে দারুণ সেভ করেন জার্মান গোলরক্ষক ব্রান্ড লিনো। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। পোস্টের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা টমি জুরিক বল পেয়ে যান। সহজ গোল করতে ভুল করেননি এই মিডফিল্ডার।
ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে উঠলেও এরপর আর গোল পায়নি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দলটি।