বৃষ্টির মধ্যে সাকিব-মুশফিকদের জুমার নামাজ
একটানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে একটিও বল হতে পারেনি। প্রায় দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তার আগেই অবশ্য ১টার দিকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলে আসে বাংলাদেশ দল। খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার খবর শুনে জুমার নামাজ পড়ার আগ্রহ দেখান খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামের পাশেই সিটি করপোরেশনের মসজিদে তাঁদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাধারণত এই মসজিদে জুমার নামাজ হয় দুপুর দেড়টায়। তবে সাকিব-মুশফিক-তামিমরা আসবেন বলে নামাজ শুরুর সময় পিছিয়ে নেওয়া হয় বেলা সোয়া ২টায়। তার আগেই অবশ্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় মসজিদের চারপাশ।
ক্রিকেটারদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দেড়টা থেকেই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন। ইমামসাহেবও অপেক্ষা করছিলেন খুতবা পড়ার জন্য। মসজিদের সামনের কাতার খালি রাখা হয়েছিল সাকিব-মুশফিক-তামিম-মুস্তাফিজদের জন্য।
দুপুর ২টা ১০ মিনিটে মসজিদে এসে পৌঁছান ক্রিকেটাররা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা। ক্রিকেটারদের একনজর দেখার জন্য মানুষদের ভিড় বাড়তে থাকে। ছোট্ট মসজিদে তখন তিলধারণের জায়গা নেই। মুসল্লিদের নামাজ পড়ার সুবিধা করে দিতে কাতারের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মামুন মিয়া ক্রিকেটারদের পাশে পেয়ে আপ্লুত। তিনি বলেন, ‘বিসিবি থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল খেলোয়াড়রা আমাদের মসজিদে নামাজ পড়বেন। আমরাও তার প্রস্তুতি নিই। দেড়টার বদলে সোয়া ২টায় জুমার নামাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়েই খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামে ফিরে যান। স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেসিয়ামে কিছুক্ষণ অনুশীলন করে হোটেলে চলে যান তাঁরা।