কাঁদতে কাঁদতে বিদায় বুফনের

এ সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনের বিদায়টা এভাবে হবে, কে-ই বা ভাবতে পেরেছিল! ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নিতে হলো কাঁদতে কাঁদতে। ১৯৫৮ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না ইতালি। বিদায়বেলায় সেই হতাশাই সঙ্গী হলো বুফনের।
ইউরোপ বাছাইপর্বের গ্রুপ রাউন্ডে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি ইতালি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় তাদের খেলতে হয়েছিল প্লে-অফ। আর সেখানেই ঘটে গেছে বড়সড় অঘটন। দুই লেগের প্লে-অফ ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হারের পর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে চারবারের শিরোপাজয়ী ইতালি।
বর্ণিল ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়েছেন অধিনায়ক জিয়ানলুইজি বুফনও। আফসোসের বিষয়, ২০ বছরের ক্যারিয়ারের শেষটা বুফনকে করতে হয়েছে কান্নাভেজা চোখে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার বলেছেন, ‘এটা খুবই হতাশার যে আমার শেষ ম্যাচটা ছিল ইতালির বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ম্যাচ। এটাই আমার একমাত্র আফসোস। কারণ সময় খুবই নির্দয়। কিন্তু এটা দ্রুত কেটেও যাবে।’
মজার ব্যাপার হলো, ১৯৯৭ সালে বুফনের অভিষেকও হয়েছিল এমনই এক প্লে-অফ ম্যাচে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার জন্য রাশিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ইতালিকে। সেই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল ইতালি।
১৯৯৭ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো আবার প্লে-অফ পরীক্ষায় নামতে হয়েছিল ইতালিকে। কিন্তু অভিষেকের মতো মধুর স্মৃতি সঙ্গী হয়নি বুফনের। এবার মুদ্রার অপর পিঠটাও দেখতে হলো অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষককে।
দুই প্লে-অফের মাঝখানে, গত ২০ বছরে ইতালির জার্সি গায়ে বুফন খেলেছিলেন ১৭৫টি ম্যাচ।
Buffon: "Lo siento".
Las lágrimas de un mito.#DestinoRusia pic.twitter.com/zLDaPUhfbS— Casa del Fútbol M+ (@casadelfutbol) November 13, 2017