‘এটা আমার কোচিং জীবনের টার্নিং পয়েন্ট’
‘এ জয় আমাদের ফুটবলের জন্য খুবই দরকার ছিল। সবচেয়ে বেশি অবদান সিলেটবাসীর। সিলেটবাসী যেভাবে উৎসাহ দিয়েছেন আমাদের। আমরা তা ভুলব না। বিশেষ করে আমি কোনো দিন ভুলব না। আমার কোচিং জীবনের এটা একটা টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করব।’
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করার পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ দলের কোচ সৈয়দ গোলাম হোসেন জিলানী।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সিলেটে। আর দাপটের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জিলানীর শিষ্যরা। আর শিরোপা লাভের পর বারবারই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সিলেটের দর্শকদের।
জিলানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছেলেরা উৎসাহ পেয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে। দর্শকদের উৎসাহের কারণেই ৫০ শতাংশ খেলা ছেলেরা কভার করে ফেলেছে। এ দর্শক আরো যত আসবে ততই আমাদের ফুটবলাররাই উপকৃত হবে।’
শিষ্যদের নিয়ে জিলানী বলেন, ‘ভারতীয় দলকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। ওরা অনেক ভালো। আমরাও অনেক ভালো। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। অল্প সময় হয়েছে ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে ওদের টেকনিক্যাল জ্ঞানটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওরা এটাই সাদরে গ্রহণ করেছে এবং প্রমাণ করেছে।’
মাঠের অবস্থা নিয়ে জিলানী বলেন, ‘মাঠ দুই দলেরই সমান। যদি ভালো মাঠ হতো তবে আরো ভালো খেলা হতো।’
ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে জোর দিয়ে জিলানী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সিলেটে ফুটবল একাডেমি করেছে, প্রতিটা বিভাগে যদি একটা করে একাডেমি হয়, প্রচুর ফুটবলার যদি অনুশীলন করার সুযোগ পায় তবে ফুটবলার অনেক পাওয়া যাবে। ওখান থেকেই ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার পাওয়া যাবে। সংখ্যায় বেশি খেলোয়াড় পাওয়া গেলে গুণগত খেলোয়াড়ও পাওয়া যাবে। এজন্য বাফুফে কাজ করছে। আর সরকারকে বলব বাফুফেকে যেন আরো সাহায্য করে। তবেই সম্ভব হবে বিশ্বকাপে খেলা।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশ বিদেশে অনুশীলন করা ও খেলার সুযোগ বাড়লে ফুটবলাররা উপকৃত হবে।’