এল ক্ল্যাসিকোর রেফারি-বিতর্ক থামছেই না!

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মতো তারকাসমৃদ্ধ দলের খেলা মানেই উত্তেজনা। দুদল যে ম্যাচে প্রতিপক্ষ, সেখানে দু-চারটা বিতর্কিত ইস্যু যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে স্প্যানিশ এই দুই প্রতিপক্ষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ‘এল ক্ল্যাসিকো’ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। লাল-হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি, ফাউল, হাতাহাতির পাশাপাশি রেফারির ওপর প্রভাব বিস্তার করার মতো গুরুতর অভিযোগও করা হয়েছে। সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে।
রেফারির ওপর প্রভাবকারী হিসেবে অভিযোগ যার বিরুদ্ধে করা হয়েছে ও অভিযোগকারী কাউকেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। ক্ল্যাসিকো শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস বলেছিলেন, ‘বিরতির সময় টানেলের মধ্যে রেফারির ওপর চাপ প্রয়োগ করেন বার্সা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।’
২-২ ব্যবধানের অমীমাংসিত ফলের এই ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দুপক্ষের বিপক্ষেই গেছে। তাই রামোসের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি না থাকলেও ইস্যুকে উসকে দিয়েছেন স্পেনের ডিফেন্ডার পিকে। প্রথমার্ধের খেলা শেষে তিনি টানেলের মধ্যে নাচো ফার্নান্দেজকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমাকে মনে রাখতে হবে, এমন বাজে রেফারিংয়ের পরও আমরাই লিগ জিতেছি।’
পিকে তাদের বিপক্ষে রেফারির বাজে সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিতে গিয়ে নাচোকে এমন কথা বলেন। যদিও ক্যামেরাকে আড়াল করার জন্য স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন। তবে নাচো চিৎকার করে পিকের কথার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘তুমি এভাবে অভিযোগ করো কীভাবে, যেখানে রেফারি আমাদের ১৭ বার মাঠের বাইরে পাঠিয়েছে!’
এ ছাড়া মার্সেলোকে অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা মারার জন্য সার্জিও রবার্তোকে লাল কার্ড দেখানোর জন্যও ক্ষুব্ধ হন বার্সা ডিফেন্ডার। তিনি ক্যাসিমেরোকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমরা যেভাবে ইচ্ছা ফাউলের সুবিধা নিতেই পারো, কিন্তু এটা তোমাদের পূর্ণতা এনে দেবে না।’ ক্যাসিমেরো অবশ্য পিকের এমন বক্তব্যে বেশ ক্ষুব্ধ হন।