অস্ট্রেলিয়াই আবার জিতবে বিশ্বকাপ!

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। চার বছর পর দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি বিশ্বকাপ আসর। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্বকাপে কারো মতে ফেভারিট স্বাগতিকরা, কারো পছন্দ বিরাট কোহলির ভারত। তবে ফেভারিটের হিসেবে একটু পিছিয়ে থাকলেও আবার বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া, এমনটিই মনে করেন দলটির অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। গত বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয়জন সদস্য এবারও অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পেয়েছেন। দলের এতগুলো খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা থাকায় এগিয়ে থাকবে অসিরা, এমনটাই মনে করেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
সম্প্রতি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এবং দলের সম্ভাবনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। গত বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ফিঞ্চ ছাড়া গত আসরের জয়ী দলের সদস্য স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স এবারও আছেন অসি স্কোয়াডে। শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা থাকা ছয়জন খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে এসে তরুণ খেলোয়াড়রাও বিশ্বকাপ জেতার মতো প্রস্তুতি এবং মানসিকতা অর্জন করতে পারবে বলে বিশ্বাস ফিঞ্চের। এবারের আসরে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিঞ্চ বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা একটা বাড়তি সুবিধা যে, আমাদের স্কোয়াডের ছয়জন খেলোয়াড় বিশ্বকাপ জিততে কী লাগে, প্রস্তুতি কেমন হতে হয় সেসব জানে। তাদের অভিজ্ঞতা দলের অন্য খেলোয়াড়দেরও কাজে লাগবে। বিশ্বকাপের মতো এত বড় আসরে খেলার অনুভূতি কেমন, প্রত্যাশার চাপ সামলানো ইত্যাদি অভিজ্ঞতা থাকায় ওরা শেখাতে পারবে।’
শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফর্মও দেখাচ্ছেন স্মিথ। অন্যদিকে, এবারের আইপিএলে ব্যাট হাতে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দুই তারকা ক্রিকেটারের ফিরে আসা বাড়তি স্বস্তি দিচ্ছে অধিনায়ক ফিঞ্চকে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ভালো ফর্ম প্রদর্শন করা স্মিথকে নিয়ে অসি অধিনায়ক বলেন, ‘স্মিথ তাঁর সেরা ফর্মে ফিরে এসেছেন। উইকেটে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত টাইমিং করছেন তিনি। দীর্ঘদিন যে দলের বাইরে ছিলেন তিনি, এটা যেন মনেই হচ্ছে না তাঁর ব্যাটিং দেখে।’
অভিজ্ঞদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ক্রিকেটাররাও বিশ্বকাপ ধরে রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। দলের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে অসি অধিনায়ক বলেন, ‘দলের সবাই সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবাই মুখিয়ে আছে বিশ্বকাপের জন্য । বিশ্বকাপ জেতা আসলে জীবনে একবারই ঘটে, এমন একটা ব্যাপার। আর সেটা ধরে রাখতে পারলে হবে অসাধারণ একটা ব্যাপার।’