দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম দিনে বোলারদের দাপট
‘লাঞ্চ’ নয়, ‘ডিনার’-এর বিরতি। খেলোয়াড়দের পরনে সাদা পোশাক থাকলেও খেলা চলছে গোলাপি বলে। একসময় জ্বলে উঠল ফ্লাডলাইট। ১৩৮ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন রূপে সেজে উঠল টেস্ট ক্রিকেট। বহু প্রতীক্ষিত, বহু আরাধ্য দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম দিনে আধিপত্য বিস্তার করলেন বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ২০২ রানে গুঁড়িয়ে দিলেও প্রথম দিন তেমন স্বস্তিতে শেষ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দিনশেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৫৪/২।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই টেস্ট নিয়ে আলোচনা চলছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। কৃত্রিম আলোয় টেস্ট ক্রিকেটের লড়াই—আলোচনা তো হবেই। এমনিতে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সারা পৃথিবীতেই আগ্রহ বেশ কম। তবে ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টের সাক্ষী হতে অ্যাডিলেড ওভালে দর্শকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সংখ্যাটা ৪৭ হাজার ৪৪১। ৫০ হাজার ধারণক্ষমতার অ্যাডিলেড ওভালের গ্যালারি যে দর্শকের উচ্ছ্বাসে বারবার ফেটে পড়ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অ্যাডিলেডে কোনো টেস্টে সর্বশেষ এত দর্শক হয়েছিল ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজে।
মাঠের লড়াইও কম উপভোগ্য হয়নি। যদিও ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগতে হয়েছে। সারা দিনে অর্ধশতক করেছেন মাত্র একজন—নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টম লেইথাম (৫০)। কিউইদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান অভিষিক্ত মিচেল স্যান্টনারের। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন নতুন বলের সঙ্গী মিচেল স্টার্ক ও জশ হেজেলউড। গোড়ালির চোটে পড়ে স্টার্কের মাত্র ৯ ওভার করেই মাঠের বাইরে চলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্য কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।