উচ্ছ্বাস আর উৎসাহে রাঙানো যে টেস্ট
একটা তথ্য দিলেই বোঝা যাবে, প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে অ্যাডিলেডবাসীর কতটা আগ্রহ। পার্থে আগের টেস্টের পুরো পাঁচ দিনে সব মিলিয়ে ৪০ হাজারের মতো দর্শক হয়েছিল। অথচ অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনই দর্শকসংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৪১! কারণ একটাই, কৃত্রিম আলো আর গোলাপি বলের সাদা পোশাকের ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৮ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম।
ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে সাধারণ দর্শক নিশ্চয়ই খুশি। ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসও কম নয়। তাঁদেরই একজন পিটার সিডল। শুক্রবার প্রথম দিন দুই উইকেট নিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা অস্ট্রেলিয়ার পেসার রীতিমতো উল্লসিত, ‘প্রথম দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য। দর্শকের উৎসাহও ছিল দেখার মতো, বিশেষ করে যখন আমরা উইকেট পাচ্ছিলাম। দিনটা দুর্দান্ত ছিল। যারা খেলা দেখতে এসেছে, তাদের প্রত্যেকেই পুরো অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পেরে মুগ্ধ।’
প্রথম দিন ফ্লাডলাইটে খেলতে বেশ সমস্যা হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। বল অতিরিক্ত সুইং করাই হয়তো তার কারণ। নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টও বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা, ‘প্রথম দিনটা অবশ্যই ভালো কেটেছে। কৃত্রিম আলোয় শেষ সেশনে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছি। নিঃসন্দেহে নতুন বল একটু বেশিই সুইং করেছে।’
তবে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হোক বা বোলাররা সুবিধা পাক, অ্যাডিলেড ওভালের নাম যে ক্রিকেট-ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজন করার গৌরব যে এই মাঠেরই।