ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের তদন্ত
ফিফার সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরেশোরে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ১৯৯০-এর দশকে আইএসএল নামে একটি ক্রীড়া বিপণন সংস্থার কাছ থেকে এক মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এফবিআই।
ব্ল্যাটারের পাশাপাশি ফিফার সাবেক সভাপতি জোয়াও হ্যাভালাঞ্জ ও সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা রিকার্দো তেইক্সেইরার বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। এফবিআইয়ের দাবি অনুযায়ী ফিফার কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে লোভনীয় একটা সম্প্রচার স্বত্ব পেয়েছিল এএসএল। ব্ল্যাটার এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছিলেন আর কোনো পদক্ষেপও নেননি। ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের ভোটাভুটিতে তেইক্সেইরাকে অংশও নিতে দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার।
এফবিআই অবশ্য সন্দেহ পোষণ করেছে ব্ল্যাটারের কিছু না জানার ব্যাপারে। হ্যাভালাঞ্জের লেখা এক চিঠিও আছে এফবিআইয়ের হাতে। যেখানে তিনি এএসএলের কাছ থেকে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
২০১০ সালে এ বিষয়ে কথাবার্তা উঠলেও সেটা দমিয়ে দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার। ২০১৩ সালে তিনি ফিফার নৈতিকতা বিষয়ক কমিটিকে বলেছিলেন, তিনি এই ঘুষ আদান-প্রদানের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। এ দফায় অবশ্য এফবিআইয়ের অভিযোগের পর কোনো মন্তব্য করেননি ব্ল্যাটার।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিফার সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এই সুইস ফুটবল প্রশাসক। বর্তমানে তাঁর ওপর জারি হয়েছে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিফার নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে ব্ল্যাটারকে।