টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে মরিয়া আজমল
বছর দেড়েক আগেও তিনি ছিলেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলার। টেস্টেও তাঁর ঘূর্ণি-জাদু বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। তবে সাঈদ আজমলের সেই সুদিন আর নেই। অবৈধ অ্যাকশন শুধরে ক্রিকেটে ফিরলেও তাঁর বোলিংয়ে আগের মতো ধার নেই। পাকিস্তান দলেও তাই জায়গা হারিয়েছেন তিনি। তবে হতাশায় ভেঙে পড়েননি এই অফস্পিনার। আগামী মার্চ-এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আজমল।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই বাঁকিয়ে বোলিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আজমল। গত বছরের এপ্রিলে অ্যাকশন সংশোধন করে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও এখনো তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি। বাংলাদেশ সফরে দুটো ওয়ানডেতে খেলার সুযোগ পেলেও একটার বেশি উইকেট পাননি। এরপর ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরস্টারশায়ারের পক্ষে আটটি ম্যাচ খেলে ৫৫.৬২ গড়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন। গত নভেম্বরে বিপিএল বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলেছিলেন আজমল। কিন্তু বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাতেও তিনি ব্যর্থ। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে মাত্র দুই উইকেট নিতে পেরেছিলেন।
এক সময় যাঁর ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যাটসম্যানরা উইকেট দিতে বাধ্য হতেন, তাঁর পক্ষে এমন ব্যর্থতা মেনে নেওয়া কঠিনই। তা ছাড়া বয়সও হয়ে গেছে ৩৮ বছর। আজমল অবশ্য হতাশায় ভেঙে পড়েননি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ বা পিএসএলে ভালো খেলে জাতীয় দলে ফিরতে তিনি মরিয়া। নিজের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের একটি অনুষ্ঠানে আজমল বলেছেন, ‘আমি একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি আর নিজের লক্ষ্যপূরণেও কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা পুরনো দিনের সাঈদ আজমলকেই দেখতে পাবেন। পিএসএলের পরই বিশ্বকাপ হবে। আমি তাই এই প্রতিযোগিতায় (পিএসএল) ভালো খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে চাই।’
ক্রিকেটে ফেরার পর অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪৪৭ উইকেট নেওয়া আজমল, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের সিরিজে আমার ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব ছিল। তখন কিছু সময়ও প্রয়োজন ছিল আমার। এখন সেই সময়টা আমি পেয়েছি। নিজের বোলিং নিয়ে কাজও করেছি। আমি বোলিংয়ের বৈচিত্র্য ফিরে পেয়েছি। তার সুফল আপনারা পিএসএলেই দেখতে পাবেন।’